একাদশী ব্রত পালন করার নিয়মাবলী - Ekadoshi Broto Palon Korar Niyomaboli.
একাদশী ব্রত পালন করার নিয়মাবলী - Ekadoshi Broto Palon Korar Niyomaboli.
দেবতাদের
মধ্যে যেমন বিষ্ণু শ্রেষ্ঠ । নদীর মধ্যে যেমন গঙ্গা, মনুষ্য মধ্যে
ব্রাহ্মণ, পক্ষীর মধ্যে গরুড়, যজ্ঞ মধ্যে অশ্বমেদ, নাগ মধ্যে অন্তদেব
শ্রেষ্ঠ। যে প্রতি শুক্ল ও কৃষ্ণ পক্ষীও একাদশী ব্রত পালন করে থাকেন সে
আমার অত্যন্ত প্রিয় হয়। পাঁচ হাজার বছর তপস্যা করে যে ফল হয়, একাদশী পালনে
সে সকল ফল লাভ হয়ে থাকে। একাদশী তিথিকে হরিবাসর তিথি বলা হয়। হরি বাসরে
হরির কীর্তন বিধায়
নিত্ত আরম্ভিল প্রভু ভক্তের প্রাণ।
একাদশীতে
অন্নভোজীর পাপ নিবারণের জন্য কন প্রকার প্রায়শ্চিত্ত এর উপায় বা রাস্তা
নাই। শ্রী ভগবানের নিমিত্তেই এই ব্রত পালন করা হয়। একাদশী তিথিতে অন্ন ভোজন
সম্পূর্ণ নিশেদ এবং উপবাস সহ হরির সংকীর্তনে রাত্রি জাগরন করাই ব্রত
সার্থকতার মুল চাবিকাঠি।
একাদশীর দিনে পঞ্চ শস্যের মধ্যে পাপ পুরুষ অবস্থান করেন।
এই পাপ পুরুষকে বিভিন্ন পাপ দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে।
এই পাপ পুরুষকে বিভিন্ন পাপ দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে।
কোন কোন পাপ দ্বারা পাপ পুরুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে তা জানতে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন। এখানে ক্লিক করুন।
- সামর্থ্য অনুযায়ী দশমীতে একাহার, একাদশীতে নিরাহার ও দ্বাদশীতে একাহার করিবেন।
- ইহাতে অসমর্থ হলে একাদশীতে অনাহার।
- যদি ইহাতেও অসমর্থ হন একাদশীতে পঞ্চ রবি শস্য বর্জন করত ফলমূলাদি অনুকল্প গ্রহণের বিধি আছে। একাদশীতে কিছু সবজি ফলমূলাদি গ্রহণ করতে পারেন। যেমন গোল আলু, মিষ্টি আলু, ও চালকুমড়া , বাদাম, তৈল অথবা ঘি দিয়ে রান্না করে ভগবানকে উৎসর্গ করে আহার করতে পারেন।
এছাড়া দুধ , কলা, আপেল, আঙ্গুর, আনারস, বেল, তরমুজ, নারিকেল, পেয়ারা, শসা, মিষ্টি আলু ইত্যাদি ফলমূলাদি আহার করতে পারেন।
একাদশীতে পাঁচ প্রকার রবিশস্য গ্রহণ করা নিষেধ করা হয়েছে।
- ধান জাতীও খাদ্য- চাউল, মুরি, চিরা, সুজি, পায়েস, খিচুরি ইত্যাদি।
- গম জাতীও খাদ্য-আটা, ময়দা, সুজি, রুটি, বিস্কুট।
- ভুট্টা জাতীও খাদ্য- ছাতু খই, রুটি, ইত্যাদি।
- ডাল জাতীও খাদ্য- মুগ, মাস কালাই, খেসারি ,মুসরি, ছোলা, বরবটি, শিম ইত্যাদি।
- সরিষা, তিল, তৈল ইত্যাদি।
একাদশীর দিনে চা, পান, সিগারেট , কফি ইত্যাদি নেশা জাতীও দ্রব্য গ্রহণ করা নিষেধ । একাদশী ব্রত পালন করলে যে শুধু নিজের সদ গতি হবে তা নয়, বরং, তার মৃত পিতা মাতাও নরক হতে উদ্ধার পেতে পারে। একাদশীতে অন্ন ভোজন করলে যেমন নরক বাসী হবে, তেমনি ভোজন করালেও নরক বাসী হবে। কাজেই একাদশী পালন করা আমাদের প্রত্যেকের কর্তব্য পঞ্জিকাতে একাদশী পালনের সময় দেওয়া থাকে।
একাদশী ব্রত পালনের প্রকৃত উদ্দেশ্য কেবল উপবাস করা নয়। নিরন্তর ভগবানের পূজা , স্মরণ, মনন ও শ্রবণ কীর্তনের মাধ্যমে একাদশীর দিন অতিবাহিত করতে হয়। একাদশীর দিনে স্ত্রী সহবাস সম্পূর্ণ রুপে নিষিদ্ধ।
একাদশী ব্রত পালনের প্রকৃত উদ্দেশ্য কেবল উপবাস করা নয়। নিরন্তর ভগবানের পূজা , স্মরণ, মনন ও শ্রবণ কীর্তনের মাধ্যমে একাদশীর দিন অতিবাহিত করতে হয়। একাদশীর দিনে স্ত্রী সহবাস সম্পূর্ণ রুপে নিষিদ্ধ।
No comments